• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

নাতনির কান্না অসহায়ের মতো দেখলেন নানা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১, ০১:১২ পিএম
নাতনির কান্না অসহায়ের মতো দেখলেন নানা

চিত্রনায়িকা পরীমনির একমাত্র অভিভাবক তার নানা শামছুল হক। শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার নাতনিকে দেখতে আদালতের বারান্দায় হাজির হন তিনি। হয়তো আজ নাতনি জামিন পাবেন—এই আশায় বুক বেঁধেছিলেন ১১০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ। কিন্তু হলো না। ফের পরীমনির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

নাতনির এই দুঃসময়ে নিজেকে খুব অসহায় লাগছে শামছুল হকের। এজলাসে নাতনির কান্না দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। নীরবে কেঁদেছেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে এমন নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে—এমনটা কখনো হয়তো ভাবেননি তিনি।

তবে পরীমনির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন তার নানা। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে পরীমনির নানা কাঠগড়ার বাইর থেকে তার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পাশে ছিলেন পরীমনির দুই খালাত ভাই। ১২টা ২৭ মিনিটে তাদের কথা শেষ হয়।

এই দুই মিনিট কি কথা বলছেন জানতে চাইলে পরীমনির খালাত ভাই জানিয়েছেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।

এর আগে ১০ আগস্ট নাতনিকে একনজর দেখতে আদালতের ছুটে এসেছিলেন শামছুল হক। কিন্তু নাতনিকে দূর থেকে দেখার সুযোগ হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি তখন। সেদিন দুপুরে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে যখন পরীমনিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন নানাকে দেখে চিৎকার করে কথা বলার চেষ্টা করেন। চিৎকার করে ‘নানা-নানা’ বলে ডাকেন। পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলার সুযোগ দেননি।

এর আগে ১৬ আগস্ট মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পরীমনিকে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফা। আদালত শুনানির জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেন।

শুনানি শেষে আরও এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মহানগর মুখ্য আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

গত ৪ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ রেখেছে আদালত।

নড়াইলের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতি ঢাকার চলচ্চিত্রে পরীমনি নামে অভিষিক্ত হন ২০১৫ সালে। সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে তুমুল আলোচনার জন্ম দেন তিনি।

Link copied!