চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, সাহায্য দিয়ে শিল্পীকে বাঁচাতে পারবেন না, চলচ্চিত্রশিল্পকে বাঁচাতে পারবেন না।
ছবি বানানোর জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সিনেমা হল তৈরির জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এবার ছবি নির্মাণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমরা যদি সুন্দর পরিকল্পনা দিতে পারি, তবে প্রধানমন্ত্রী দেবেন না কেন। ছবি চললে ট্যাক্সও পাবেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে চাই।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্যানেল ঘোষণার জন্য রোববার (৯ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, “যে টাকা মন্ত্রণালয় দেয়, সে অনুদান দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি টিকবে না। কমার্শিয়াল ছবি নির্মাণ করতে হবে। আপনি যদি এক হাজার কোটি টাকা হল মালিকদের দিতে পারেন, তবে আমাদের ছবি নির্মাণের জন্য এক হাজার কোটি দিতে হবে।”
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, “যারা শিল্পী সমিতিতে ছিল, তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যথেষ্ট করেছেন। প্রত্যেকের একটা সামর্থ্য থাকে, সে অনুযায়ী তারা কাজ করে।”
নেতৃত্বের একটা গুণ উল্লেখ করে বেদের মেয়ে জ্যোৎস্নাখ্যাত এই নায়ক বলেন, “নিপুণ নিজে একটি টিম তৈরি করেছে। আমি নিজে করিনি। এটাই কিন্তু নেতৃত্বের একটা গুণ। করোনাকালে যেভাবে সে মাঠে নেবে মানুষকে সহযোগিতা করেছে, সেটা কিন্তু বিরাট বিষয়। নেতার কিন্তু দরদি হতে হয়। মানুষের জন্য ভালোবাসা থাকতে হয়। আমি মনে করি আমি একজন যোগ্য মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।”
সাহায্য দিয়ে আপনি শিল্পীকে বাঁচাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ইলিয়াস। তিনি বলেন, “বর্তমানে সামাজিক বিচারে একজন মানুষের চলতে ২০-২৫ হাজার টাকা মাসিক আয় দরকার। কিন্তু আপনি কতজন মানুষকে এই অর্থ দেবেন। এটা তো সম্ভব না। সাহায্য দিয়ে আপনি শিল্পীকে বাঁচাতে পারবেন না, ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে পারবেন না। একজন শিল্পী ঘরে বসে থেকে সাহায্য নেওয়ার জন্য শিল্পী হয় নাই। ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে আমাদের কিছু প্রোগ্রাম করতে হবে, কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে, কিছু পরিকল্পনা করতে হবে।”
সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান ইলিয়াস। তিনি বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে প্রডিউসারদের সঙ্গে শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতির ঝামেলা রয়েছে। কিন্তু এভাবে চললে আমরা কীভাবে বাঁচব। সবাই একটি পূর্ণাঙ্গ দেহের মতো। তার প্রতিটি অঙ্গকেই আপনাকে বাঁচাতে হবে। সকলের সঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে।”