বাংলাদেশে চলছে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকের দ্বিতীয় দফার শুটিং। এর মধ্যে খবর এসেছে, এই ছবিতে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। ইতোমধ্যে চুক্তির কাজও সেরে ফেলেছেন। এখন শুধু দৃশ্যধারণের অপেক্ষা।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিতব্য সিনেমাটিতে অভিনয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত জায়েদ খান। চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য শুরু করে দিয়েছেন প্রস্তুতি।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ বলেন, “এমন একটি ছবিতে অভিনয় করতে চলেছি, যেটা নির্মিত হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে। এই ছবিতে অভিনয় করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। এটা আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। টিক্কা খানের ভিডিও দেখছি, তার সম্পর্কে বই পড়ছি। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কথা বলার ধরন, চাহনি—সবকিছু আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছি। আশাকরি ভালোভাবে তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারব।”
জায়েদ জানালেন, ছবির পরিচালক শ্যাম বেনেগাল তাকে পছন্দ করেছেন। এ জন্য তিনি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, “সিনেমাটির জন্য আমি মুম্বাইতে অডিশন দিতে গিয়েছিলাম। তখনই চূড়ান্ত হয়েছিলাম। কিন্তু চুক্তি ছাড়া কোনো খবর দেওয়া নিষেধ ছিল। শুনেছি, শ্যাম বেনেগাল স্যার আমাকে পছন্দ পছন্দ করেছেন।”
মুদ্রার ওপিঠে টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই জায়েদকে নিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ হচ্ছে নেট দুনিয়ায়। অনেকে ঠাট্টা করে জানতে চাইছেন, সবসময় কানে দুল পরা জায়েদ কী টিক্কা খানের চরিত্রেও কানে দুল পরবেন! এসব বিদ্রুপ জায়েদ খানের চোখ এড়ায়নি। তবে তা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি।
জায়েদের ভাষ্য, “সমালোচনা করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে কতিপয় মানুষের। তাদের কোনো কাজ নেই তাই ঘরে বসে অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করতে ভালোবাসে। তারা সিনেমা ভালোবাসে না। সেজন্য তাদের নিয়ে কিছু বলার নেই। এসব সমালোচনাকে পাত্তা দিতে চাই না। ঠিকঠাক কাজটা করে যেতে চাই। তবে হ্যাঁ, আমি সবসময় গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করি।”
এদিকে এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন জায়েদ। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজের সিদ্ধান্ত নেন। জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর থেকে তার অংশের শুটিং শুরু হবে।