বাংলা চলচ্চিত্রের এক আবেগের নাম সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কাটনের বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেতার মরদেহ। মাত্র ২৪ বছরের জীবন নিয়ে তিনি পৃথিবীতে এলেও এখনো তিনি বেঁচে আছেন ভক্তদের কাছে। আজও তিনি সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন, নাকি তাকে খুন করা হয়েছিল—এর মীমাংসা এত বছরেও হয়নি। যদিও তিনি ‘আত্মহত্যা করেছিলেন’ জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
সালমান শাহর পারিবারিক নাম শহীদ চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। সালমান ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে। মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরের চলচ্চিত্রজীবনে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা সালমান শাহ ঢাকাই সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে সিনেমাজগতে পা রাখেন সালমান শাহ। প্রথম সিনেমাই তাকে ঢালিউডের প্রথম শ্রেণির নায়ক করে তোলে। ক্রমশ অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন তিনি। প্রথম সিনেমার পর থেকে সালমানের ক্যারিয়ারে একের পর এক যোগ হতে থাকে সাফল্যের পালক। প্রথম সিনেমাতে মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। পরে শাবনূরের সঙ্গে সফল জুটি গড়ে ওঠে সালমানের। এসব জুটির একেকটি সিনেমা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে আছে।
এ ছাড়া তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চি। শেষ সিনেমাটি পর্যন্ত সমানতালে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন সালমান শাহ। বাংলা চলচ্চিত্রের সাফল্যের রাজপুত্র হিসেবেও তাকে অভিহিত করা হয়।