সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেলেই এখন ‘কাঁচা বাদাম’ শিরোনামে গানটি চোখে পড়ে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে গানটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। সেই সুবাদে ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের কাছেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানটির রচয়িতা ভুবন বাদ্যকর।
ভারতের বীরভূমে গানে গানে বাদাম বিক্রি করেন ভুবন বাদ্যকর। গানটির লেখা, সুর ও কণ্ঠ সবই তার নিজের। কিন্তু আলোচিত এই গানটির স্বত্ব অন্যদের নামে ‘সংরক্ষিত’ হয়েছে ইউটিউবে। অবশেষে সেই অভিযোগ নিয়ে ভুবন বাদ্যকরকে থানায়ও যেতে হয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বীরভূমের দুবরাজপুর থানায় গিয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুবন। তার অভিযোগ, ইউটিউবে গানটির স্বত্ব ‘সংরক্ষিত’ দেখাচ্ছে। অথচ ইউটিউবে নিজস্ব কোনো অ্যাকাউন্ট নেই তার।
গত কয়েক দিনে গানটি ইউটিউব, টিকটক ও ফেসবুক মাতাচ্ছে। ছোট-বড়, তরুণ-তরুণীরাও এই গানে তাল মেলাচ্ছে, নাচছে-গাইছে। গানটির ভিউয়ার্স বাড়ছে। ভাইরাল হওয়া গানটি থেকে অর্থ উপার্জনও করছে ইউটিউব, ফেসবুক। কিন্তু গানটির প্রকৃত মালিক ভুবন এখন পর্যন্ত কোনো অর্থ পাননি। এমনকি গানের শিল্পী হিসেবে তার নামও নেই অনেক জায়গায়। তাই নিজের নামে গানের স্বত্ব চান ভুবান। পাশাপাশি গান থেকে উপার্জিত প্রাপ্য অর্থ পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুবন।
ভুবন বাদ্যকর বলেন, ‘গান ভাইরাল হয়, প্রচুর মানুষ বাড়িতে আসছে। অনেকেই আমার গান ভিডিও করে নিয়ে যান। সেই গান নেটমাধ্যমে ছেড়ে দেয়। তারা টাকা আয় করছেন। কিন্তু আমি তো কিছুই পাই না। আমার হাত খালি।’
ভাইরাল এই গায়ক নিরাপত্তার জন্য মাথায় হেলমেট পরে বাড়ি থেকে থানায় আসেন। কেউ যেন তাকে চিনতে না পারেন তাই এটা করেছেন বলে জানান তিনি।
ভুবন বাদ্যকর বলেন, “বাদাম বিক্রি করতেই তো গানটি বেঁধেছিলাম। এখন রাস্তায় বেরোলেই অনেকেই ছুটে এসে ছবি তোলে। গানটি শুনতে চায়। ভিডিও করে। নিরাপত্তার জন্য় মাথায় হেলমেট পরি মাঝেমধ্যে।”