বঙ্গবন্ধু অভিনীত চলচ্চিত্র


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২১, ১২:৪১ পিএম
বঙ্গবন্ধু অভিনীত চলচ্চিত্র

দুঁদে রাজনীতিবিদ হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপাদমস্তক চলচ্চিত্রপ্রেমী। তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে চলচ্চিত্রকর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “এই বাংলাদেশকে আমি বড়ই ভালোবাসি। তোদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, যদি পারিস এই সোনার বাংলাদেশকে নিয়ে ছবি তৈরি করিস।”

চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াতের ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র’ বিষয়ক বইয়ে যার উল্লেখ পাওয়া যায়। চলচ্চিত্র আর্কাইভের তথ্যমতে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে মাত্র ৪৮টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, যা খুবই কম। শুধু তা-ই নয়, জাতির জনকের জীবন নিয়ে তৈরি হয়নি কোনো চলচ্চিত্র।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত না হলেও জীবদ্দশায় নিজেই ‘সংগ্রাম’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। যদিও সেটি খুব বড় চরিত্র ছিল না। তবে রাষ্ট্রপ্রধানের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ঘটনাটি ইতিহাসে বিরল।  

প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম ছিলেন ছবিটির পরিচালক। এই ছবির অভিনেতা ছিলেন খসরু। তিনি ছিলেন একজন গেরিলাযোদ্ধা। দেশ স্বাধীনের আগে খসরু ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তার হাত ধরেই ১৯৬৯ সালে মুসলিম লীগের এনএসএফ গুণ্ডা বাহিনী ঢাকা থেকে উৎখাত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ শেষে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন ছিলেন খসরু।

ছবির চিত্রনাট্যে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন খসরু।

প্রথমে বঙ্গবন্ধু না করলেও পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য রাজি করান খসরু। ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকা সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে।

Link copied!