কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ত্রিকোণ প্রেমের গল্পে রায়হান রাফি নির্মাণ করেছেন’ ‘পরাণ’ সিনেমা। পরাণের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, শরিফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান। সিনেমাটি ঈদের দিন মাত্র ১১টি হলে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু দর্শকদের তুমুল আগ্রহে সিনেমার হলসংখ্যা বেড়েছে।
সিনেমাটির জন্য তুমুল প্রশংসায় ভাসছেন মীম। অনেকেই মনে করছেন ‘পরাণ’ মীমের ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমা। এবার অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভাসালেন তার স্বামী সনি পোদ্দার।
রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টারে শনিবার (১৬ জুলাই) স্বামী সনি পোদ্দারসহ বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে ‘পরাণ’ সিনেমাটি দেখেন মীম। স্ত্রীর সঙ্গে সিনেমাটি দেখে রাতেই ফেসবুকে তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন সনি।
তিনি লেখেন, ‘আমি যখন মিমের বয়ফ্রেন্ড ছিলাম, ‘‘তখন সিনেমা হলে একা বসেই তার সিনেমা উপভোগ করেছি। তার অভিনীত আমার দেখা প্রথম সিনেমার নাম সাপলুডু। বিয়ের আগে দুজনে একসঙ্গে বসে মীমের কোনো সিনেমা দেখা হয়নি। বিয়ের পর মীমের অভিনীত প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা পরাণ। আজকে ব্লকবাস্টার সিনেমায় এই প্রথম দুজন একত্রে বসে মীমের সিনেমা দেখলাম। সঙ্গে দেখলাম দর্শকদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস! পরাণ আমার পরানে জায়গা করে নিয়েছে, আর মীম তো সব সময়ই পরাণেই আছে! বিদ্যা সিনহা মীমের স্বামী হিসেবে আমি গর্বিত। আমি ভাগ্যবান, পর্দার অনন্যার সঙ্গে বাস্তবের বিদ্যা সিনহা মিমের কোনো মিল নেই!’’
স্বামীকে ভালোবাসা জানিয়ে সেই পোস্টটি মীম শেয়ার করে লিখেন, ‘‘তুমি আমাকে নিয়ে লিখেছ, আমি খুবই অবাক! পরাণের সাফল্যের এই কৃতিত্ব অবশ্যই পুরো পরাণ টিমের। পরিচালক রায়হান রাফি থেকে শুরু করে আমার সহশিল্পী রাজ, ইয়াশ এবং বাকি সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ ধন্যবাদ লাইভ টেকনোলজির অতুল ভাই এবং আরাফাত ভাইকে। আর অবশ্যই ধন্যবাদ আমার প্রাণপ্রিয় দর্শকদের।’’
এছাড়া পরাণ দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মীমের স্বামী সনি। সনি মজার ছলে বলেন, ‘‘বিয়ের আগে পরাণ সিনেমাটা দেখলে, অনন্যা চরিত্রটির সঙ্গে সম্পর্ক করার আগে কিছুটা হলেও ভেবে দেখতাম!’’
এদিন মিমের সঙ্গে ‘পরাণ’ সিনেমাটি দেখেছেন তার বন্ধু অভিনেতা সজল এবং অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিণও।
সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘পরাণ’। এর গল্পের সঙ্গে মিল রয়েছে বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার। যদিও সিনেমা-সংশ্লিষ্টরা সরাসরি সেটা স্বীকার করেননি। বরং এটাকে আশপাশের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত বলে অভিহিত করেছেন।