এত দিন ধরে অন্যদের মালিকানায় চলা সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে সালমান খানের সিনেমা। এবার নিজের মালিকানাধীন সিনেমা হলেই চলবে তার সিনেমা। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ভারতের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হবে তার মাল্টিপ্লেক্স। নিজের স্বপ্নের এই প্রজেক্টের নাম দিয়েছেন ‘সালমান টকিজ’।
সম্প্রতি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলিউডের ভাইজান জানান, থিয়েটার খোলার পরিকল্পনা অনেক দিন ধরেই ছিল তার। আশা করা যায় খুব দ্রুতই শুরু করতে পারবেন তিনি তার স্বপ্নের প্রজেক্ট।
সালমান বলেন, “এখনো কাজ চলছে। আমরা পরিকল্পনা করছিলাম, কিন্তু করোনা মহামারির জন্য সব বন্ধ করে দিতে হয়। ধীরে ধীরে আমরা শুরু করব ফের, একদিন ঠিকই খোলা হবে।”
নিজের নামে সিনেমা হলগুলো নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবনা রয়েছে সালমানের। মেট্রো সিটিগুলোতে খোলা হবে না থিয়েটার চেইন। মূলত শহরের বাইরের দিক, মফস্বল অঞ্চল যেখানে মানুষ থিয়েটারে ছবি দেখতে পারে না, সেখানেই হলগুলো খোলার ইচ্ছা রয়েছে ভাইজানের। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ছোট শহরে হলগুলো খোলার পরিকল্পনা ছিল আমাদের, যেখানে মানুষ থিয়েটারে ছবি দেখতে পারে না। মুম্বাইয়ের মতো বড় শহরে নয়।”
প্রথমে মহারাষ্ট্র দিয়েই প্রোজেক্ট শুরু করবেন সালমান। ধীরে ধীরে আগামী ১০ বছরে অন্যান্য রাজজ্যে ছড়িয়ে পড়বে ‘সালমান টকিজ’। আগে শোনা গিয়েছিল, সালমানের এই থিয়েটার চেইনে টিকিট হবে করমুক্ত, কম দামের এবং বঞ্চিত শিশুদের জনন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তবে পুরো বিষয়টা খুব ধীরেসুস্থে, বুঝেশুনে এগোচ্ছেন সালমান।
২০১৯ সালে সিনেমা হলে মুক্তি পায় সালমান খানের ‘দাবাং ৩’। তার প্রায় দেড় বছর বাদে মুক্তি পায় ‘রাধে’। তবে ‘রাধে’র ক্ষেত্রে হাইব্রিড রিলিজের পথে হেঁটেছিলেন সালমান। করোনা পরিস্থিতিতে কিছু জায়গায় সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু বেশির ভাগ দর্শক তা ‘জি-ফাইভ’ ওয়েব প্ল্যাটফর্মেই দেখেন। তবে বহুদিন পর সিনেমা হলের দরজা খুলেছে। সালমানের আশা বক্স অফিসে হিট করবে তার নতুন ছবি ‘অন্তিম’।