হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকুদের সঙ্গে এবার ‘সিসিমপুর’-এ যুক্ত হচ্ছে নতুন বন্ধু। নতুন চমক নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের ১৫তম সিজন। এবারের আয়োজনে ২৬টি পর্ব তৈরি করবে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
রোববার (১২ জুন) থেকে রাজধানীর এফডিসিতে শুটিং শুরু হয়েছে।
সিসিমপুর সূত্রে জানা গেছে, নতুন সিজনের বিভিন্ন পর্বে হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকু ছোট্ট বন্ধুদের জন্য মজার মজার নতুন সব গল্প নিয়ে হাজির হবে। ওদের সঙ্গে থাকবে আশা, গুণি, ময়রাসহ সিসিমপুরের নিয়মিত অন্যান্য চরিত্ররা। এর পাশাপাশি এবারের সিজনে সিসিমপুরে যুক্ত হচ্ছে নতুন একজন বন্ধু! তবে সেই বন্ধুর নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, এটি হবে সিসিমপুর বন্ধুদের জন্য বড় চমক।
সব শিশুর জন্য সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে নতুন সিজনের পর্বগুলো। থাকবে ভাষা, বর্ণ, গণিত, অটিজম আর সামাজিক ও দলীয় সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে সচেতনতামূলক নানা সেগমেন্ট। এছাড়া আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও নিজের যত্ন নেওয়া, কল্পনাশক্তি এবং প্রতিবন্ধকতা ও লিঙ্গবৈষম্য জয় করার মতো বিষয়গুলো উঠে আসবে সিজন ১৫-এর নানা পর্বে।
এফডিসিতে নতুন সিজনের শুটিং শুরুর প্রাক্কালে সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্রগুলো ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সিসেমি ওয়ার্কশপের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জন জেপসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানি লেবিন, পরিচালক টেরেসা ওলভারটন, ইউএসএআইডি’র শিক্ষা অফিস পরিচালক সোনিয়া রেনল্ডস কুপার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তম কুমার দাশ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসটিবি) এর সদস্য প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, ইউএসএআইডি’র শিক্ষা উপদেষ্টা সুদেব কুমার বিশ্বাস এবং সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলমসহ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে।
ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত সিসিমপুর ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।