• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২, ০১:২৯ পিএম
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’

করোনা আবহের মধ্যেই জমজমাট বিংশতিতম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ৯ দিনব্যাপী এ উৎসবের ৭ম দিন শুক্রবারে নির্ধারিত ভেন্যুগুলোতে চলছে বিভিন্ন দেশের সিনেমা। এদিন সন্ধ্যায় দর্শকের মনের তৃপ্ততা দিয়েছে নূরুল আলম আতিকের প্রশংসিত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছবি ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’ বিভাগে গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ দেখতে পেয়েছেন দর্শক।‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ১৯০ তম প্রদর্শনিতে দেখানো হচ্ছে আজ।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উচ্ছ্বসিত দর্শকের ঢল দেখে ছবির পরিচালক নূরুল আলম আতিক বলেন, “এই সময়টা বাংলাদেশি সিনামার সুবর্ণ সময়। আমরা অনেক সময় সিমানা থেকে দর্শকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার দৃশ্য দেখেছি। তবে বর্তমানে তরুণ নির্মাতারা যে সিনামা তৈরি করছেন, তা দেখতে দর্শকদের সিনামার প্রতি আবার কৌতুহল বাড়ছে।”

মুক্তিযুদ্ধের গল্প একই সঙ্গে বাঙালির আনন্দ ও বেদনার গল্প। মার খেতে খেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাঙালির ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ তেমন একটি গল্পের চলচ্চিত্র। ১৯৭১ এর অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরের গল্প ‘লাল মোরগের ঝুটি’। রঙিন ক্যামেরায় ধারণ করা হলেও এক ঘণ্টা ৪৬ মিনিটের এই ছবির রঙ ‘সাদাকালো’।

সৈয়দপুরে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ঘাঁটি গড়ে তোলে দুই পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন ও কয়েক জন সেনা। লাগোয়া গ্রামের রাজাকারদের ওপর ভর করে পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন। রাজাকারদের সহায়তায় নির্মাণ শ্রমিকদের আটকে রেখে মানবেতর ভাবে কাজ করানো হয়।

এই গ্রামের প্রান্তিক মানুষ যাদের রেডিও ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানার আর কোনো মাধ্যম নেই, তারা প্রগাঢ়ভাবে উপস্থিত এই সিনেমায়। পরোক্ষভাবে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রও খুব শক্তভাবে আছে যার প্রতীক রেডিও নির্ভরতা।

এ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন লায়লা হাসান, আহমেদ রুবেল, আশনা হাবিব ভাবনা, অশোক বেপারী, আশীষ খন্দকার, জয়রাজ, শিল্পী সরকার, ইলোরা গওহর, জ্যোতিকা জ্যোতি, দিলরুবা দোয়েল, স্বাগতা, শাহজাহান সম্রাট, দীপক সুমন, খলিলুর রহমান কাদেরী, অনন্ত মুনির, সৈকত, যুবায়ের, আশেক-মাশেক, মতিউল আলম, হাসিমুনসহ কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং গৌরীপুর এলাকার সাধারণ মানুষ।

ছবিটির প্রযোজক হিসেবে আছেন মাতিয়া বানু শুকু, চিত্রগ্রহণে সুমন সরকার, কাশেফ শাহবাজী, মাজাহারুল ইসলাম, সম্পাদনা সামির আহমেদ, শব্দে সুকান্ত মজুমদার, সংগীতে আছেন রাশিদ শরীফ শোয়েব, শিল্প নির্দেশনায় লিটন কর, ওয়াদুদ রেইনি, পোশাক পরিকল্পনায় শারমিন নাহার লাকী, আফরোজা, মৃন্ময়ী সরকার, রূপসজ্জায় মো. ফারুক, ফরহাদ রেজা মিলন।

 

Link copied!