বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হচ্ছে না। অভিযোগের পর পাল্টা অভিযোগের ঘটনা ঘটছে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদটিও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ।
জানা যায়, তাদের দুজনের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আপিল বোর্ডে আবেদন করেন এই নায়িকা। এরপর বোর্ড নির্দেশনা চেয়ে চিঠি পাঠায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর। মন্ত্রণালয় দু'পক্ষের কথা শুনে ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দেয় আপিল বোর্ডকে।
আপিল বোর্ডের প্রধান ও পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, “আগামী শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হবে। সেখানে আমরা অভিযোগকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে ডাকব। দুই পক্ষের কথা শুনে আলোচনা করে তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত দেবো। এমনও হতে পারে, যদি দেখি দোষ প্রমাণিত হয়েছে তাহলে আমরা পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী করবো। আমরা শুধু আমাদের পর্যবেক্ষণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। বাকিটা তারা জানাবে।”
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান বিজয়ী হন। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ ভোট কিনেছেন বলে দাবি করেন ১৩ ভোটে হেরে যাওয়া নিপুণ।
