• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্ষমা চাইলেন আরিফিন শুভ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম
ক্ষমা চাইলেন আরিফিন শুভ

বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইলেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার বিশেন প্রদর্শনীর রাতে সিনেমাটি দেখার অহ্বান জানানোর এক পর্যায়ে তিনি ৭১-কে ‘সেভেনটি ওয়ান’ এবং ৫২-কে ‘ফিফটি টু’ বলেন। একই সঙ্গে ছবিটি দেখাকে দেশপ্রেমের সঙ্গে তুলনা করেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার বন্যা বয়ে যায়। পুরো ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে শুভ আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটি বক্তব্য দিয়েছেন ভিডিতে।

শুভ বলেন, “আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস, যে চরিত্রটিতে কাজ করছি সে চরিত্রটিতে বসবাস করার জন্য। এখানে আহামরি কোনো বিষয় নেই। ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিং যখন শুরু হয় তখন কেউ যদি আমাকে দেখে থাকেন, তাহলে দেখবেন আমি অফস্ক্রীণেও এ কাপড় পরে থাকতাম। তখন অবশ্য মাথায় কোনো কাপড় পরতাম না। পরে অবশ্য অনেকে আমার মাথায় কিছু না কিছু দেখেছেন। এর একটি কারণ আছে, সে কারণটি বলতে চাই ক্ষোভে দুঃখে। কিন্তু আমি তা বলবো না, তাতে আমার অন্য আরেকটি সন্তানের ক্ষতি হবে, তার নাম ‘নূর’।”

মিশন এক্সট্রিমের প্রিমিয়ারে মাথায় বঙ্গবন্ধু লেখা সবুজ ও সাদা রঙের একটি টুপি পরে যান শুভ। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “এটি আমি পরে যেতে চাইনি। আমাদের ৭ মার্চের ভাষণের দৃশ্যায়ণ চলছিলো। সেখানে যারা ক্রাউডের (বক্তৃতা শুনতে আসা জনতা) অভিনয় করছিলেন তাদের অনেকের মাথায় এ টুপিটি (সবুজ-সাদা টুপিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ লেখা) পরা ছিল। বিষয়টি ইন্টারেস্টিং লাগলো। আমার কাছে মনে হলো, গায়ের পোশাকের সাথে মাথায় অন্য কাপড় ভালো লাগবে না, আমি এটি (বঙ্গবন্ধু লেখা টুপি) পরে চলে যাই।”

ইংরেজিতে লেখা চিত্রনাট্য দেখিয়ে বলেন, “অনেক দিন ধরে সেভেনটি ওয়ান, ফোরটি এইট, ফিফটি টু, সিন থার্টি ওয়ান, থার্টি টু—ব্যাপারগুলো আমার সঙ্গে চলছে।”

প্রসঙ্গত, ৩ ডিসেম্বর দেশের ৪৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি। সিনেমাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন সানি সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ।

সিনেমাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত। এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) সানী সানোয়ার নিজেই। সিনেমাটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে রয়েছে মাইম মাল্টিমিডিয়া ও ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাব।

Link copied!