বলিউডের প্রখ্যাত গায়ক কেকের মৃত্যুর আগের দিন পশ্চিমবঙ্গের গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর করা মন্তব্য আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ‘হু ইজ কেকে ম্যান?’ এই মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যম বেশ উত্তপ্ত কদিন। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তোপের মুখে পড়তে হয় কলকাতার এই গায়ককে।
এবার কেকের আকস্মিক মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে যাওয়ায় পর প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করলেন রূপঙ্কর। শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে এক সাংবাদ সম্মেলন ডেকে স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ীকে পাশে নিয়ে নিজের ভিডিও বার্তার ব্যাখ্যা দেন রূপঙ্কর।
রূপঙ্কর জানান, বিতর্কিত ভিডিওটি তিনি ডিলিট করেছেন। গায়কের দাবি, কেকের প্রতি তার কোনো ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই। বলিউডের গায়ককে নিয়ে নয়, তার কনসার্টের উন্মাদনা নিয়ে বলেছিলেন। এর পাশাপাশি আরো দাবি করেন, নিজের বক্তব্য গুছিয়ে বলতে পারেননি বলে বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে।
রূপঙ্কর বলেন, “প্রথমেই প্রয়াত কেকের পরিবারের কাছে নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করছি। কেকে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিদ্বেষ নেই। থাকার কোনো প্রশ্নও ওঠে না। আমি শুধু ওর কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা দেখে বলেছিলাম বাঙালি গায়কদের জন্য আপনারা এরকম দরদ দেখান। মুহূর্তের অসতর্কতা যে এমন গনগনে এবং মারমুখী আবেগ বয়ে আনবে কে জানত!”
এ সময় গায়ক আরও বলেন, “এত ঘৃনা, এত আক্রোশ, এত বিরুদ্ধতা। কিন্তু অনেকটাই তৈরি হল আমার বক্তব্য আমি ঠিক মতো গুছিয়ে বলতে না পারায়।”
দীর্ঘ সংগীত জীবনে এরকম বিভীষিকার মুখোমুখি হননি- জানিয়ে রূপঙ্কর বলেন, !আমার সংগীত জীবনে এরকম বিভীষিকার মুখোমুখি হতে হবে ভাবিনি। যেখানে ওড়িশায় বসে করা একটি ভিডিও পোস্ট এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যা আমার গোটা পরিবারকে ঠেলে দেবে চরম আতঙ্ক, দুর্ভাবনা এবং মানসিক নিপীড়নের মধ্যে। যেখানে আমার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা রক্ষায় পাহারা দেবে টালা থানার পুলিশ। হুমকি এসেই যাবে আমার স্ত্রীর ফোনে।”
রূপঙ্কর দাবি করেন, একার কথা নয়, একটি সমষ্টির কথা বলতে চেয়েছিলেন ভিডিওতে। কেকের নামটা নিছক প্রতীক ছিল, উপলক্ষ্য মাত্র। সমষ্টিগত বিপন্নতা কাটানোই নাকি তার লক্ষ্য ছিল।
কেকে কনসার্টে অংশ নিতে কলকাতায় এসেছিলেন। দুই দিনের কনসার্টে মঙ্গলবার (৩১ মে) দ্বিতীয় দিনে মঞ্চ মাতিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।