• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমার সাফল্যের পেছনে বাবার অবদান বেশি: আবুল হায়াত


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম
আমার সাফল্যের পেছনে বাবার অবদান বেশি: আবুল হায়াত

আবুল হায়াত—বাংলা নাটকের নক্ষত্রসম মানুষ। একাধারে তিনি অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক। সত্তরের দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলা সংস্কৃতিকে ঋদ্ধ করে চলেছেন। ক্লান্তিহীনভাবে অভিনয় করে যাচ্ছেন। 

অভিনয় জীবনে মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা পাচ্ছেন আবুল হায়াত। আর তাই তো বার্ধক্যে এসেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে না করতে পারেন না। আবুল হায়াতের ভাষ্য, “জীবনে আমার চাওয়ার থেকে বেশি পেয়েছি। জীবনে খুব সীমিত চাওয়া ছিল আমার। এটাই আমার জীবনের সবথেকে বড় উপলব্ধি। এ জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষ আমার অভিনয় পছন্দ করেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তাদের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।”

নিজের জীবনের সফলতার পেছনের বাবার অবদান বেশি বলে মনে করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। আবুল হায়াত বলেন, “আমার জীবনে সব থেকে বেশি অবদান আমার বাবার। তিনি সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ ছিলেন। অভিনয় করতেন না। একটি ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন। সেখান থেকে আমার অভিনয়ের শুরু। বাবা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিতেন। পাশপাশি মাও অনুপ্রাণিত করতেন। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী আমার আমার পাশে থেকেছেন। সবসময় সাহস জুগিয়ে চলছেন এখনও।”

অভিনয়ের পাশপাশি পরিচালনাও করেন। এই দুইয়ের মধ্যে কোন জায়গাটা উপভোগ করেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমি পরিচালনা বেশি উপভোগ করছি। আমার কাছে মনে হয়,পরিচালনায় সম্পূর্ণতা থাকে। তবে পরিচালনায় অনেক বেশি ভাবতে হয়,পরিশ্রম করতে হয়। সে কারণে খুব বেশি পরিচালনা করা হয়ে ওঠে না।”

আবুল হায়াত মনে করেন, এখন নাটকে অভিনয়শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করা হয়। ফলে ভালো অভিনয়শিল্পী বেরিয়ে আসছে না। তিনি বলেন, “নাটক এখন প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে। টাকাওয়ালা মানুষরা প্রাইভেট সেক্টর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের সাথে আছে চ্যানেল। তাদের চাহিদা মতো এখন সব পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং একজন পরিচালকের এখানে কিছুই করার থাকে না। এখন এখানে অনেক স্বজনপ্রীতি হচ্ছে।” 

এখনকার অভিনয়শিল্পীদের সম্পর্কে আবুল হায়াত বলেন, “অনেকেই খুব ভালো অভিনয় করছেন। তবে এমন অনেক অভিনয়শিল্পী আছেন যারা স্বজনপ্রীতি আর গ্ল্যামারের কারণে অভিনয় করছেন। তাদের ভেতর দক্ষতার অভাব রয়েছে। যেহেতু তারা অভিনয়ে চলে এসেছেন সেহেতু তাদের অভিনয় শিখতে হবে। অভিনয়ের ওপর কর্মশালা করতে হবে। তাহলে অভিনয়ের ওপর ধীরে ধীরে দক্ষতা বাড়বে।”

Link copied!