পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেপ্তার হওয়ার পর টালমাটাল বলিউড। এরপর অনেক ভুক্তভোগী মুখ খুলতে শুরু করেন। সেই তালিকায় যুক্ত হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া পরী পাসওয়ানের নাম। বলিউডে কাজ করতে গিয়ে তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান।
পরী বলেন, “এক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকা হয়েছিল আমাকে। সেখানে কোমল পানিয়র সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। সেই অজ্ঞান অবস্থাতেই আমার পর্নো ভিডিও ধারন করা হয়। এবং সেটা ছড়িয়ে দেওয়া হয় অন্তর্জালে।”
ঘটনার পর তিনি মুম্বাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। যে কারণে মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
ভারতের ধানবাদের বাসিন্দা পরী পাসওয়ান। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল মডেলিং করার। গ্ল্যামার দুনিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে মুম্বাই পাড়ি জমিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া খেতাব পেয়েছিলেন। এরপর নীরাজ পাসওয়ানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরী। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করেন পরী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী নীরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর নীরাজের পরিবার আসল সত্য প্রকাশ্যে আনেন। তারা জানান, পরী আগেও দুটি বিয়ে করেছেন। তার ১২ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। এমনকি পর্নো ভিডিওতে কাজ করে আয় করেন বলেও জানায় নীরাজের পরিবার। এসব অভিযোগের পর পরী মুখ খোলেন এবং পর্নো ভিডিও প্রসঙ্গে তার অভিজ্ঞতার কথা জানান।