• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেই প্রতিবন্ধী ভক্তের চিকিৎসা করাবেন অনন্ত!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২, ১১:০৪ এএম
সেই প্রতিবন্ধী ভক্তের চিকিৎসা করাবেন অনন্ত!

চলচ্চিত্র জগতের সুপারস্টার অনন্ত জলিলের অন্ধভক্ত বগুড়ার প্রতিবন্ধী যুবক সোহেল রানা (৩৫)। অনন্ত জলিল ও বর্ষা জুটির প্রথম ছবি ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমা মুক্তির পর থেকেই সোহেল রানা নায়ক অনন্তর ভক্ত হয়ে যান। এরপর অনেক চেষ্টার পর অনন্ত জলিলের ফোন নম্বর যোগাযোগ করে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এর পর থেকেই অনন্ত জলিলের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। এর মাঝে অনন্ত জলিল তার ভক্ত সোহেল রানাকে কথা দিয়েছিলেন তার নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পেলে তিনি বগুড়ায় যাবেন। তার গ্রামে যাবেন। ভক্তকে দেওয়া কথা রেখেছেন এই নায়ক।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টায় তার স্ত্রী বর্ষাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে উড়ে যান সোহেল রানার গ্রাম কাহালু উপজেলার জামগ্রামের কালিপাড়া গ্রামে। এরপর তারা রানাকে সঙ্গে করে দুপুরের খাবার খান। পরে তারা তিনজনে হেলিকপ্টারে বগুড়া সদরে পৌঁছান। সেখান থেকে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে দুপুর ৩টায় এই জুটির নতুন ছবি ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমা দেখেন।

অনন্ত-বর্ষা জুটি তাদের ভক্ত সোহেল রানার গ্রামে হেলিকপ্টারে পৌঁছার পর সেখানে শত শত মানুষ ভিড় করে। নায়ক-নায়িকার জন্য কালিপাড়া ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টেজ সাজানো হয়। স্টেজেই ভক্ত রানাকে নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অনন্ত-বর্ষা।

এ সময় সোহেল রানা বলেন, “অনন্ত জলিলের মতো বড় মাপের মানুষকে যখনই ফোন দিয়েছি, তখনই তিনি কথা বলেছেন। আজ তিনি শুধু আমার কথা রাখতে বগুড়া এসেছেন। এ আনন্দ আমি বলে বোঝাতে পারব না। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন, আমিও চেষ্টা করি তাকে আরও বেশি ভালোবাসার।”  

এ সময় নায়িকা বর্ষা বলেন, “আমি গ্রামের মেয়ে। গ্রামে বড় হয়েছি। রানার জন্য অনেক দিন পর আবার গ্রামে আসতে পারলাম। এ জন্য খুব ভালো লাগছে।

‘দিন-দ্য ডে’ চলচ্চিত্র সম্পর্কে বর্ষা বলেন, “দেশে চলচ্চিত্রের ধারায় পরিবর্তন আসছে। হলিউড, বলিউডের ধাঁচেও আমরা ছবি করতে পারি। এমনই একটি চলচ্চিত্র ‘দিন-দ্য ডে’। এর অ্যাকশন, গল্প সবকিছু দর্শকদের ভালো লাগবে। অনেক সিনেমা হলে দেখেছি সন্তান কোলে নিয়ে মা এসেছেন চলচ্চিত্র দেখতে। মানুষের ভালো সিনেমা দেখার এই আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে।”

এ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল বলেন, “যত সচিব, আমলা, ব্যবসায়ী গড়ে উঠেছে গ্রাম থেকে। এ জন্য গ্রামকে কখনো ছোট করা যাবে না। আজকে বগুড়া আসার একটি বড় কারণ রানা। রানাকে দেখার পাশাপাশি আপনাদের কাছেও আসতে পেরেছি। ওর বাবা-মাকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওর মন আপনার-আমার চেয়ে অনেক বড়।”
এ সময় নায়ক আরও বলেন, “রানার দুটো পা’ই অচল। আমি রানাকে ঢাকা নিয়ে যাব। ওর পাসপোর্ট করাব, ওকে থাইল্যান্ড নিয়ে যাব চিকিৎসার জন্য। আমি চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।”

 

Link copied!