নব্বইয়ের দশকের বাংলার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সবাইকে বেদনার ভেলায় ভাসিয়ে চিরতরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
টালিউডের সুপারস্টার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের ক্যারিয়ারে অনেক ছবি করেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই দুই জুটির ঝুলিতে রয়েছে বহু হিট সিনেমা।
শেষ দিকে অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ কমে গিয়েছিল বলে ভারতীয় এক গণমাধ্যমের কাছে আক্ষেপ করেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন,‘‘শেষ দিকে যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। টেলিভিশনে যখন মাঝে মাঝে ওকে একঝলক দেখতাম, তখন মনে হতো, ওর সুন্দর চেহারা ছিল। কেন নিজেকে মেনটেন করে না। মনে হয়েছিল, ও কি অসুস্থ? শরীর ভালো নেই? তবে যোগাযোগ হয়নি। আজ ওর চলে যাওয়াটা আমাদের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি।”
প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, ‘‘সকালে অভিষেকের চলে যাওয়ার খবর পাই। কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনি প্রথমে। মনে হচ্ছিল খবরটা ঠিক নয়। এত দুঃখের খবর, কী বলব বুঝতে পারছি না।’’
ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘দহন’ সিনেমায় অভিষেকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ঋতুপর্ণা সেন। এই সিনেমাকে ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সিনেমা আখ্যা দিয়েছেন ঋতু। এ প্রসঙ্গে টালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘দহন’। এই ছবিতে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম। আমার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিল অভিষেক।”
স্মৃতিচারণা করে অভিষেককে পরোপকারী আখ্যা দিয়েছেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক খুব ভালো মানুষ ছিল। ছিল পরোপকারী। সেটে খুব মজা করত। সরল মানুষ ছিল খুব। আমাদের জন্য রান্না করে খাবার আনত। আমার ভালো বন্ধু।”
অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন অন্যতম অভিনেতা। বাংলা ছবির জগতে ওর অনেক অবদান রয়েছে। যেখানেই থাকুক , ভালো থাকুক, যেন শান্তিতে থাকে।