সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর সবাইকে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিলেন। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়ে গেল এক সোনালি যুগের। অনেক তারকার স্মৃতিচারণেই উঠে এসেছে কিংবদন্তী লতার টুকরো টুকরো গল্প। ভারতীয় অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমানের স্মৃতিচারণে উঠে এল তিনি যেভাবে লতা মুঙ্গেশকরকে বাংলাদেশে গান করতে রাজি করিয়েছিলেন।
লতার কাছের মানুষ ছিলেন ওয়াহিদা রহমান। একসঙ্গে প্লেব্যাক যেমন করেছেন, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনেও দারুণ সম্পর্ক ছিল তাঁদের। বাংলাদেশে গান করার জন্য লতাকে রাজি করিয়েছিলেন ওয়াহিদা। তবে সেজন্য কিছুটা কৌশল অবলম্বন করেন ভারতীয় অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম এইসময়ে ওয়াহিদা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশে একটি শোর আয়োজন করার কথা ছিল আমার। লতাজির কাছে গিয়েছিলাম। প্রথমে উনি না বলে দিলেন। টানা ১০ দিন, আমিও ওর কাছে বার বার যাই, উনিও নাকোচ করে দেন প্রস্তাব। তারপর ওর এক দুর্বলতার কথা জানতে পারি। সিদ্ধান্ত নিই সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই ওকে বাংলাদেশের শোয়ের জন্য রাজি করাব। লতাজি ভীষণ চকোলেট ভালোবাসতেন। আমি প্রতিদিন প্রচুর চকোলেট পাঠাতে থাকলাম ওর বাড়ি। অবশেষে তিনি রাজি হলেন। পরে অবশ্য আমাকে বলেছিলেন, ওয়াহিদা তুমি আমার দুর্বলতা জেনে তার সুযোগ নিলে তো! খুব স্মার্ট তুমি।”
তিনি আরও বলেন, “ছবির বাইরেও লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। একসঙ্গে একাধিক স্টেজ শো করেছি। একবার আমি একটি স্টেজ শোর আয়োজন করেছিলাম বম্বেতে লতাজি আর কিশোর কুমারকে নিয়ে। এরপর আমারিকায় একাধিক স্টেজ শো... নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, শিকাগোর মতো একাধিক শহরে।”
সুর সম্রাজ্ঞী স্মৃতিচারণায় ওয়াহিদা বলেছিলেন, ‘‘কোনও গান রেকর্ডিং করার আগে পরিচালককে জিজ্ঞাসা করে নিতেন কোন নায়িকার জন্য প্লেব্যাক করছেন, গানের প্রেক্ষাপট কী? সেই মতো নিজেকে তৈরি করতেন।”