পুরোনো ক্যাসেট, সিডি, ভিসিডিতে প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত গানের রয়্যালিটির বিভাজনবিষয়ক সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। কপিরাইট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যালবামের গান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করলে মেধাস্বত্ব পাবে চার পক্ষ।
এই চার পক্ষ হলেন— গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও লেবেল কোম্পানি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত আছে, গানটিতে নতুন করে সংযোজন যদি না করা হয় তাহলে এই চার পক্ষ সমভাবে মেধাস্বত্ব পাবে।
বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়, “যে সকল পুরনো গান পূর্বে কেবল সিডি বা ভিসিডি ও ক্যাসেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল এবং সংশ্লিষ্ট লেবেল কোম্পানিকে নতুন করে অর্থ বিনিয়োগ কিংবা গীতিকার, সুরকার বা কণ্ঠশিল্পীকে পুনরায় কোনও মেধা বা শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়নি, এরূপ পুরনো গানের ক্ষেত্রে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও লেবেল কোম্পানি প্রত্যেক পক্ষ ২৫ শতাংশ হারে মেধাস্বত্ব পাবেন।”
এই নির্দেশনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পীরা। এছাড়া সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের মাধ্যমে তিন সংগীতসংশ্লিষ্ট সংগঠনের পেশকৃত ১৮ দফা প্রস্তাবের অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।