চিত্রনায়ক আসলাম তালুকদার মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। আজ তাঁর ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। মান্নার চলে যাওয়ার পর থেকেই বাংলার চলচ্চিত্রশিল্পে সংকটের শুরু। কমতে থাকে চলচ্চিত নির্মাণের সংখ্যা। স্থিমিত হয় চলচ্চিত্রের বাজার।
মান্নার অভিনীত অধিকাংশ চলচ্চিত্রই ছিল ব্যবসাসফল। তিনি ১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা নুরুল ইসলাম তালুকদার ও মাতা হাসিনা ইসলাম। মান্না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন।
আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। চব্বিশ বছরের অভিনয় জীবনে মান্না তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বীর সৈনিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আম্মাজান চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে মান্না তার সহ-অভিনেত্রী শেলী কাদেরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির সিয়াম ইলতিমাস মান্না নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি মান্না চলচ্চিত্র প্রযোজনায়ও নাম লিখিয়েছেন। তিনি কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। লুটতারাজ, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধূ এক স্বামী, আমি জেল থেকে বলছি, পিতা মাতার আমানতসহ মোট আটটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন মান্না।
মান্না ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ৪৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
মান্না ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (এফডিসি) আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমে নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত পাগলী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র শিল্পে অভিষেক ঘটে। যদিও তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র তওবা। এরপর তিনি শুরু করে একের পর এক সিনিমায় অভিনয়। মান্না ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত কাসেম মালার প্রেম চলচ্চিত্রে প্রথম একক নায়ক হিসেবে চম্পার বিপরীতে অভিনয় করেন।
