প্রচণ্ড খুশির দিনে কিংবা তপ্ত কঠিন দুপুরের আবহ। সব কিছুতেই রয়েছে কবীর সুমনের ছোঁয়া। অথবা গানে গানে হোক প্রতিবাদ। সেবখানেই সমান পদচারণা কবীর সুমনের। যিনি বাংলা গানকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আজ এই কিংবদন্তির জন্মদিন।
কোন একটি নির্দিষ্ট পরিচয়ে কবীর সুমনকে বাঁধা যায় না। জীবনের নানা পর্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি। কবীর সুমন একাধারে বাঙালি গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা, বেতার সাংবাদিক, গদ্যকার এবং রাজনীতিক।
কবীর সুমন সাধারণত নিজেই নিজের গানের কথা, সুর করে থাকেন। জীবনের প্রথম পর্যায়ে সুমন ‘নাগরিক’ নামের কলকাতার একটি ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে সুমন নিজেই একটা ব্যান্ড খুলেন, নাম দিলেন ‘সুমন দ্যা ওয়ান ম্যান ব্যান্ড’।
সুমনই সুমনের ব্যান্ডের একজন এবং একমাত্র সদস্য। তার কনসার্টে অন্য কোনো যন্ত্রশিল্পীর প্রয়োজন পরে না। একই সাথে গিটার, হারমোনিকা, কিবোর্ড বাজিয়ে নিজেই নিজের গান করেন।
সুমন মূলত ভক্তদের কাছে পৌঁছতে পেরেছেন তার জীবনমুখী গানের জন্যই। কোনো ইন্সট্রুমেন্টের বাড়াবাড়ি বা প্রযুক্তির কারসাজি নেই তার গানে। অসম্ভব সুন্দর গানের কথা, প্রত্যেকটা গানই শ্রোতাকে তার বিস্ময়ের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
সুমন নিজেই একবার বলেছিলেন, ‘গান লেখার জন্য কল্পনা করার প্রয়োজন নেই, তোমার আশে পাশের পরিবেশ নিয়েই গান ধরো। আত্ম শুদ্ধির স্বাদ পাবে।’ এই জন্যই হয়তো সুমনকে বলা হয়ে থাকে নাগরিক কবিয়াল।
কবীর সুমনের সৃষ্ট গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- দুনিয়াটা, গানওয়ালা, তোমাকে চাই, তুমি ছিলে, হাল ছেড়ো না বন্ধু, অভিবাদন, খোদার কসম জান, জাতিস্মর ইত্যাদি।