ভারত ও পাকিস্তানের পর বহুজাতিক কোমল পানীয় কোকা-কোলার উদ্যোগে জনপ্রিয় গানের নতুন ও ভিন্নধর্মী সঙ্গীতায়োজনের অনুষ্ঠান কোক স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু তে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা একটি সংস্কৃতি ও সঙ্গীতপ্রেমী জাতি। '৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত গান আমাদের জাতীয় জীবনের প্রধান মাইলফলক ও ঐতিহাসিক আন্দোলনগুলাের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থেকেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাসে পৃথিবীর বাংলাভাষী মানুষের জন্য কোক স্টুডিও বাংলা’-এর সূচনা নিয়ে আসা, কোকা-কোলা বাংলাদেশের একটি চমৎকার উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।”
এ ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “গান গাইতে না জানলেও শুনতে অনেক ভালো লাগে। এতই ভালো লাগে যে তাহসান ভাইয়ের-অর্ণবের গান শুনতে রেকর্ডিংয়ের সময়েই স্টুডিওতে হাজির হয়। পুরো আয়োজনের প্রস্তুতি থেকে ভীষণ অভিভূত হয়েছিলাম।”
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ আরও বলেন, “ভাষার মাসের বাংলা ভাষাকে সম্মান দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলাকেই বিশেষভাবে তুলে ধরেছে। আমরা অত্যন্ত গর্বিত। সঙ্গীতের মূর্ছনায় বাংলা ভাষাকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে কোক স্টুডিওকে আহ্বান জানান তিনি। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের আন্দোলনকে সফল প্রয়াস হিসেবে কাজ করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।”
এদিকে কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “বাংলাদেশের মানুষদের জন্য জাদুকরি ও চমৎকার মুহূর্ত সৃষ্টি করে আমরা সবার জীবনকে উপভােগ্য করে তুলতে চাই। বাংলাদেশে আমাদের কার্যক্রমের ৬০তম বছর উদযাপন করছি আমরা। এ উপলক্ষে অসাধারণ সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই জাতির জন্য প্রথমবারের মতাে “কোক স্টুডিও বাংলা” উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের পণ্যের মতাে এই প্ল্যাটফর্মের সৃষ্টিগুলােও দর্শকদের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে।”