তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন ইভ্যালির এক গ্রাহক।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৪ ডিসেম্বর এ মামলাটি করেন স্যাম রহমান।
মামলার তদন্তের নথি সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এসেছে বলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।
মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েসকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছা দূত ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছা দূত। শবনম ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। তারা ইভ্যালির প্রতারণায় সহযোগিতা করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।
সাদ স্যাম রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও এতে সহায়তা করেছেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ওসি ইকরাম আলী জানান, এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।