নির্বাচনে কাদা-ছোড়াছুড়ি তো থাকবেই বলে মন্তব্য করেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা মুনমুন।
মুনমুন আরও বলেন, “একজনের বিরুদ্ধে আরেকজন কথা বলবে, আবার একজন অন্যজনকে জয়ী করতে চাইবে, হারাতে চাইবে।”
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে মুনমুন বলেন, “নির্বাচনে আমরা কাউকে সমর্থন দেব, কাউকে দেব না। কিন্তু দিনশেষে আমরা সবাই এক। চলচ্চিত্রে সবাই এক পরিবার। আমি চাই, আমাদের মধ্যে একতা থাকুক। একজনের পেছনে আরেকজন যেন লেগে না থাকি।”
দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমা থেকে দূরে রয়েছেন মুনমুন। এ প্রসঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা তো যা করার, করেই এসেছি। একটানা অনেকদিন কাজ করেছি না? ওটাই আমার জীবনের অর্জন। সারাজীবন যে কাজ করেই যেতে হবে, এমন তো কথা না।”
আগামীতেও সিনেমায় কাজ করার পরিকল্পনা নেই মুনমুনের।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টায় শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এফডিসিতে শিল্পীদের উপস্থিতিও ছিল বেশ। এদিকে ভোটগ্রহণ উপলক্ষে এফডিসিতে একত্র হয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা। বহুদিন পরে দেখা অনেকেরই। কুশল বিনিময় করছেন একে অন্যের সঙ্গে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ৪২৮ জন ভোটার ২১টি পদে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করবেন। পদগুলোতে লড়াই করছেন ৪৫ জন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও নিপুন। দুটি সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, ডিএ তায়েব, ডিপজল ও রিয়াজ।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষার্থে ১৯৮৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।