মাদক মামলায় কারাগারে থাকা চিত্রনায়িকা পরীমনির পাশে দাঁড়িয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অবিলম্বের পরীমনির জামিন দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ঘটনার সত্যতা না জেনে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। চেষ্টা সত্ত্বেও পরীমনির বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর পরীমনি বড় শিল্পী হওয়ায় সত্য-মিথ্যা খুঁজে বের করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।”
আরও বলা হয়েছে, “আমরা সমিতিগতভাবে পরিষ্কার জানাতে চাই, পরীমনি আমাদের প্রিয় শিল্পী। তার গ্রেপ্তারে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন বলে একজন আইনজীবী পত্রিকায় যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিক নয়। পরীমনি আমাদের দেশের জনপ্রিয় শিল্পী। তিনি যে মামলার আসামি তাতে তাকে জামিন দিয়ে এটি পরিচালনা হতে পারে। তিনি দোষী নাকি নির্দোষ, তা আদালতে প্রমাণ হবে। কিন্তু জামিন পাওয়ার আইনি এখতিয়ার পরীর আছে। সুতরাং আমরা মনে করি, পরীমনিকে অবিলম্বে জামিন দিয়ে সত্য-মিথ্যা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হোক। তার প্রতি সুবিচার হোক।”
এদিকে এ ধরনের বিবৃতি দিতে এক মাস লাগল কেন—জানতে চাইলে সোহানুর রহমান সোহান বলেন, “আমরা এ সময় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই করার চেষ্টা করেছি। এরপর সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই তার যে মামলা তাতে তাকে জামিন দিয়ে বিচার করা হোক।”
গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলা করেন।
মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, পরীমনির বাসা থেকে ক্রিস্টাল মেথ, এলএসডি ও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, পরীমনি চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন।