জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে দেশের সকল স্তরের জনগণ বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রুটিন উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
রোববার (১১ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “আমাদের প্রজন্মের সকলের সমবেত এবং শক্তিশালী প্রচেষ্টাই পারে পরিবেশকে অক্ষুন্ন এবং সমৃদ্ধ রেখে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। বছরের থিম অনুসারে প্লাস্টিক দূষণ রোধে আমাদের এগিয়ে না আসলে বিশ্ব এক ভয়াবহ অবস্থানে পতিত হবে।”
প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশের সবচেয়ে ক্ষতিকর পদার্থের মধ্যে একটি যা আমাদের নিঃশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করে উল্লেখ করে কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “শুধু সেমিনার করলাম সবাইকে সচেতন করলাম এটার মধ্যে যেন আমাদের এই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না থাকে। যখন কোনো আন্দোলন হয় কেন জানি না এই পরিবেশের গাছগুলোর ওপরেই মানুষ চড়াও হয়, আমি দেখেছি যুদ্ধের সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে পাকিস্তানি মিলিটারিরা আমাদের বড় গাছগুলোকে পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য। যখন আমাদের দেশে কোনো আন্দোলন হয় সেখানেও দেখি এই গাছের ওপরে মানুষ বেশি হামলা করে। আন্দোলনের নামে এই ধরনের পরিবেশ নষ্ট করা কখনোই কাম্য নয়।”
সেমিনারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “পরিবেশ রক্ষা করতে হলে আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। আগামী প্রজন্মকে নিশ্চিত ভবিষৎ দিতে হলে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নেই। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার জন্য শুধু পলিসি থাকলেই হবে না সেই পলিসির বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এটি বাস্তবায়ন করতে পারলেই এই প্লাস্টিক দূষণকে আমরা রোধ করতে পারব। একজন ভূগোলবিদ চাইলে সবকিছু করতে পারে, ভূগোলবিদ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল হাসান।