সারা দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯ কেন্দ্রে একযোগে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষায় অংশ নিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।সুষ্ঠুভাবে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য় ১৭৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সরকারি কর্ম কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল ১০টায় প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর কোনো প্রার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র নেওয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতেও পারবেন না। এছাড়া কোনো প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গরমিল বা অনিয়ম ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এবারের ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন এবং শিক্ষায় ৮৪৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগ পাবে অডিটে ৩৫ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন, সমবায়ে ২০ জন, ডেন্টাল সার্জন পদে ৭৫ জনসহ অন্যান্য ক্যাডারে আরও ৩৮৩ জন।
এই পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহ্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
- প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিট উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
- প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি থাকবে। প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্ন পত্র প্রাপ্তির পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কি না, তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাবে।
- প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর (সকাল ১০টা) কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নপত্র নেওয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতেও পারবেন না।
- কোনো প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গরমিলসহ কোনোরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- পরীক্ষাকেন্দ্রে বই-পুস্তক, সব প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
- পরীক্ষা হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
- পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
- প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
- প্রার্থীর আবেদনপত্রে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যেকোনো পর্যায়ে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
- ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের ওএমআর উত্তরপত্রের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশে প্রার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট নম্বর এবং স্বাক্ষরের স্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশে ২০০টি উত্তর প্রদানের জন্য ১-২০০ পর্যন্ত ক্রম অনুযায়ী বৃত্তসমূহ থাকবে।