ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী বহনকারী মৈত্রী বাস দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা এবং চালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চাকা ফেটে ডিভাইডারে উঠে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল মহিমা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরিফুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিশির চন্দ্র দাস, চায়নিজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের মাহবুব আলম, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের আমির হোসেন, চালক ইউনুস প্রধান প্রমুখ।
জানা গেছে, এ দুর্ঘটনায় বাসচালক ইউনুস প্রধান সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷
চালক ইউনুস প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, “চাকা কখন পাংচার হয়ে যায়, তার তো আসলে নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আমারও তো জীবনের ভয় আছে। আমার কোনো ভুল ছিল না। এটা দুর্ঘটনা, তাতে আমার কোনো অবহেলা ছিল না। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।”
আহত শিক্ষার্থী আমির হোসেন বলেন, “বাসটির চাকা ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। চাকা পরিবর্তনের জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তা পরিবর্তন করা হয়নি। আজ ফ্লাইওভারের ওপর যদি এ ঘটনা ঘটত, তাহলে বাসটি নিচে পড়ে যেত। তেমন হলে হয়তো আরও ভয়াবহ কিছু হতো। বাসটির চাকা ফেটে রাস্তার ডিভাইডারের ওপর উঠে যায় এবং প্রায় ১০ জন আহত হন।”
মেয়াদোত্তীর্ণ চাকা পরিবর্তন করা না করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ম্যানেজার (২) কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের কাছে আবেদন জানালে সেটা আমরা টেকনিক্যাল অফিসারকে জানাই। টেকনিক্যাল অফিসার বিষয়টি দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেন। আমাদের কাছে যথেষ্ট চাকা মজুত আছে। চাকা লাগানোর সময় সামনের চাকা পেছনে আর পেছনের চাকা সামনে লাগানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রী বাসটি নারায়ণগঞ্জের আইইটি থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে আসে।