• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টিকা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার জাবির দুই শিক্ষার্থী


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২২, ০৯:৩৬ এএম
টিকা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার জাবির দুই শিক্ষার্থী

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন জাবির শতাধিক শিক্ষার্থী।এ সময় ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

অবোরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার দুপুরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগের মো. ইমন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মো. মাজেদ। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় দুপুর ২টা বেজে যাওয়ায় টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। টিকাপ্রত্যাশীদের অনেকেই লাইনে দাঁড়ানো ছিলেন। লাইন শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা কর্তৃপক্ষতে টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানান। টিকাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা এতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে চারজন স্বাস্থ্যকর্মী মিলে ইমন ও মাজেদকে মারধর শুরু করেন। পরে তাদের সাভার মডেল থানায় নিয়ে যায় স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি সেখানে মীমাংসা হয়নি। ইমন ও মাজেদ অসুস্থ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ইমন ও মাজেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই দুই শিক্ষার্থী জোর করে টিকা নিতে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের থানায় নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি নিয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছি। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেব।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!