জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে চিকিৎসা ও গবেষণা খাতে।
শুক্রবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে এ বাজেট পাশ হয়। বাজেট উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার।
২৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার এ বাজেট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা অনুদান দেবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্রে আয় হবে ২২ কোটি টাকা।
অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়। সংশোধিত বাজেটের আকার ২৭৮ কোটি দুই লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
বাজেটে চিকিৎসা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে দুই কোটি ৭৪ লাখ ১১ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৯৮ শতাংশ। এছাড়া গবেষণা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৫৮ শতাংশ। এ দুই খাতে গত বছর বরাদ্দ ছিলো যথাক্রমে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ও ৪ কোটি টাকা।
বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। যা মূল বাজেটের ৩৫.০৬ শতাংশ। অবসরকালীন সুবিধা বাবদ বরাদ্দ ৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১০.৯৯ শতাংশ। প্রশাসনিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ কোটি এক লাখ ২৯ হাজার টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১১.৪৭ শতাংশ। বিবিধ ব্যয় বাবদ বরাদ্দ ৫ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ১.৮৫ শতাংশ।
এছাড়া আনুসাঙ্গিক ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে ৩২ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ১১.৬০ শতাংশ। আবাসিক হল সমূহে ২৬ কোটি ৫৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ৯.৫২ শতাংশ। প্রকাশনা খাতে ব্যয় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ০.০২ শতাংশ।
এছাড়া গ্রন্থাগারের ব্যয় ৩ কোটি এক লাখ ৫ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ১.০৮ শতাংশ। শিক্ষা সরঞ্জাম, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যয় দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ০.৮৬ শতাংশ।
ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলা ও কো-কারিকুলার খাতে ব্যয় এক কোটি ৯৯ লাখ ১৬ হাজার। যা মোট বাজেটের ০.৭১ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ত বিভাগে ব্যয় ৮ কোটি ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ২.৯৬ শতাংশ। মুলধন ব্যয় ৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। । যা মোট বাজেটের ২.৯১ শতাংশ।
অন্যদিকে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর মধ্যে ছাত্রবৃত্তি ও ফেলোশীপে বরাদ্দ ০.০৮ শতাংশ কমিয়ে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার খরচ বাবদ বরাদ্দ ০.৩৩ শতাংশ কমিয়ে দাড়িয়েছে ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, সিন্ডিকেট সদস্য ও রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অধিবেশনের কার্যসূচীতে ১০টি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার মূল বাজেট উপস্থাপন, সিনেটের ৩৮তম বার্ষিক সভার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ, সিনেটের ৩৮তম বার্ষিক সভার রিপোর্ট অনুমোদন বিবেচনা, ২০১৯-২০২০ সালের (সংশোধিত) এবং ২০২০-২০২১ সালের (মূল) রেকারিং বাজেট কার্যোত্তর অনুমোদন বিবেচনা, ২০২০-২০২১ সালের (সংশোধিত) এবং ২০২১-২০২২ সালের (মূল) রেকারিং বাজেট কার্যোত্তর অনুমোদন বিবেচনা ও ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের খসড়া বার্ষিক প্রতিবেদন অনুমোদন বিবেচনা ইত্যাদি।