ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ডাকা অবরোধ দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে শাটল ট্রেনের চলাচল।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
চবি শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত বিজয় উপপক্ষের নেতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, কমিটি পুনর্গঠন করে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তা না হলে তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ছাত্রলীগের অবরোধের কারণে আজও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বাস ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি।
এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শাটল ট্রেন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রতন কুমার চৌধুরী।
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর চবি শাখার ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটি ঘোষণার পরই পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের প্রায় ৩০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন। রাতেই চবির মূল ফটক আটকে দিয়ে অবরোধের ডাক দেন নেতা-কর্মীরা।