কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে নেই কোনো ওয়াশরুম। এতে লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা পরছেন ভোগান্তিতে। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রশাসন যেন দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৫ম তলায় অবস্থিত। সেখানে লাইব্রেরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো ওয়াশরুমের ব্যবস্থা। তা ছাড়া শিক্ষার্থীরা মাঝে মাঝে এই ওয়াশরুম ব্যবহার করতে গেলে তাদেরকে বাধা প্রদান করা হয় এবং প্রায় সময়েই সেখানে তালা ঝুলে থাকে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমের জন্য ৫ম তলা থেকে নিচ তলায় নামতে হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমা আক্তার বলেন, “একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ওয়াশরুম থাকবে না, এই বিষয়টা মানা যায় না। দেখা গেছে আমাদের অনেকটা সময় এখানে অবস্থান করতে হয়। যার কারণে ওয়াশরুমের দরকার পরে। আর তখন আমাদের নিচ তলায় বা অন্য কোথাও যেতে হয়। যার কারণে এই ব্রেকের জন্য আমাদের পড়াশোনার মনযোগটাও থাকে না। ফলে লাইব্রেরিতে পড়তে আসলেও আমাদের পড়াটা ঠিকভাবে হয়ে ওঠে না।”
আরেক শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, “ওয়াশরুম না থাকায় আমরা লাইব্রেরিতে অবস্থানকালে ওয়াশরুমের দরকার পরলে আশেপাশের দপ্তরগুলোর ওয়াশরুমেও যেতে পারি না। কারণ সেগুলো স্টাফদের জন্য রাখা হয়েছে। তাই নিচ তলার ওয়াশরুমে আসতে হয়। কিন্তু সেগুলোও অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে বাধ্য হয়ে ফ্যাকাল্টিতে আসতে হয়। যা খুবই বিরক্তিকর। এতে সময়ও অপচয় হয়। তখন মনে হয় লাইব্রেরি থেকে একেবারেই চলে যাই।”
প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত ওয়াশরুমগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেগুলো খুবই অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন। তাছাড়া দরজাগুলোও ঠিকভাবে লাগানো যায় না। ভিতরে লাইট না থাকার কারণে ভিতরের পরিবেশ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে।
লাইব্রেরিতে ওয়াশরুম নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মহি উদ্দিন মোহাম্মদ তারিক ভূঞাঁ বলেন, “লাইব্রেরিতে স্পেস কম থাকায় নতুন করে ওয়াশরুম নির্মাণ করা সম্ভব না। তাই আমরা লাইব্রেরির পেছনে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য ইঞ্জিনিয়ার দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছিলাম কিন্তু তারা জানিয়েছে এখানে ওয়াশরুম নির্মাণ সম্ভব না। যেহেতু নতুনভাবে ওয়াশরুম নির্মাণ করা সম্ভব না, তাই আপাতত পাশে আইকিউএসসির দপ্তর থেকে একটা ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব।”
তিনি আরও বলেন, “লাইব্রেরির জন্য নতুন ভবন তৈরি করা হবে। আশা করি তখন আমরা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।”