• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘কর্মজগতের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২২, ০৪:২৫ পিএম
‘কর্মজগতের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে’

কর্মজগতের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, “সমাবর্তনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে সুন্দর একটা সার্টিফিকেট তুলে দিচ্ছি। কিন্তু এই সার্টিফিকেট সে তার জীবনে কতটা কাজে লাগাতে পারছে, কর্মজগতে তার শেখাটা কত ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছে, সেটাও দেখা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।”

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে উচ্চ শিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশনবিষয়ক সম্মেলন ও অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রতিযোগিতা চলছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “আমরা শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করে যাচ্ছি, শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনা করছি না। কত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছি, সেটা নিয়ে আমরা ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের পাশাপাশি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলেছেন। তারপরও আমরা তা করছি না।”

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা যখন জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলছি, তখন জায়গায় জায়গায় দেয়াল তুলছি কেনো! এই বয়সের পর আর ভর্তি হওয়া যাবে না, একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে না, এই বিষয়ে ভর্তি হবার পর অন্য বিষয়ে পড়া যাবে না। এগুলো আমরা কেনো বলছি, সেটা আমার বোধগম্য নয়। আইন বিষয়ে পড়ার পর আমি চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং  নিয়ে পড়বো, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার পর আমি চাইলে সাহিত্য নিয়ে পড়বো, কিন্তু কেনো আমি পড়তে পারবো না। আমাদের কেনো দেয়াল তুলতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “১৮ বছর বয়সে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়ন নিয়ে পড়ব। ছয় মাস, এক বছর, তিন বছর পর আমার মনে হলো আমি এই বিষয়ে পড়তে চাই না। কিন্তু আমার সামনে পথ খোলা নেই। আমাকে ধরে নিতে হবে, এটা আমার ব্রেক অফ স্টাডি। সারা বিশ্বে এটা পারলে বাংলাদেশে কেনো পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিক্ষায় গুণগত মান আমাদের অর্জন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। সেজন্য অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়া অনেক বেশি জরুরি। অ্যাক্রিডিটেশন একটা ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নির্ণয় হবে, এমনটি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সেল্ফ অ্যাসেসমেন্টের মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু শিখবে।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!