• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, ঢাবি শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, ঢাবি শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি

নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালিদ বিন আমীরের পদত্যাগ চেয়ে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভাগের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, হিজাব নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, শিক্ষার্থীদের মানসিক নিপীড়ন, পাঠ দানে অযোগ্যতা ও অপেশাদারিত্বসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি গভীর রাতে মেয়েদের মেসেজ ও কল দেন। মাঝে মাঝে নারী শিক্ষার্থীদের ডিপার্টমেন্টে রুমে একা একা ডাকেন। তিনি ক্লাসে অশ্লীল কথা বলেন। পোশাক নিয়ে কটু কথা বলেন। বিবাহিত শিক্ষার্থীদেদের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে ক্লাসে কথা তোলেন। আঞ্চলিকতা নিয়েও ক্লাসে কথা তোলেন। ক্লাসে একটু লম্বা মেয়েদের উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিভিন্ন সময় মেয়েদের শারীরিক গঠন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পড়ানোর মতো যোগ্যতাই নেই, পারদর্শী না। তার অধীনে ইন্টার্নশিপ করেছে এমন একটা মেয়েকেও তিনি অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন।

বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ২০২১ সালে তিনি ২৫তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার ৩৮ জনকে ফেল করিয়ে দেন। শুধু স্লাইড দেন। না পড়িয়ে নিজে পড়তে বলেন। এমনকি তিনি একবার পরীক্ষার একমাস আগে কোনকিছু না পড়িয়েই সিলেবাস হিসেবে ২৫টা চ্যাপ্টার দেন, যেখানে সাধারণ ব্যাপার হচ্ছে ১০টা চ্যাপ্টার। ২৮ ব্যাচের তৃতীয় সেমিস্টারের বিজনেস ম্যাথের মতো ক্লাসও তিনি অনলাইনে নিতেন। অফলাইনে নিয়েছেন মাত্র দুই থেকে তিনটা।

তবে অভিযুক্ত খালিদ বিন আমীরের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হাসিনা শেখের কাছে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে টেক্সট মেসেজ করতে বলেন। টেক্সটে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রত্যুত্তর দেননি।

সার্বিক বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা তো ছেলেমেয়েদের সব কথা শুনেছি। সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমরা সব তদন্ত করব, ছেলেমেয়েদের আমরা ডেকে কথা বলব। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!