প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের তিনটি দাবির মধ্যে সরকার দুটি দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা। তবে ক্যাম্পাস শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় অনশন প্রত্যাহারের কথা জানান অনশনরত শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব।
তিনি বলেন, “আমাদের তিনটি দাবির মধ্যে দুটি পুরোপুরি মেনে নিয়ে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাকি একটি আলোচনা সাপেক্ষে মেনে নেওয়া হবে। লিখিত চিঠি পাওয়ায় আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি। তবে মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত সামনে না আসা পর্যন্ত আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।”
মেনে নেওয়া দাবি দুটি হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর ও পুরান ঢাকার বাণী ভবনও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড কাজ সম্পন্ন করা। অপর দাবিটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। তারও আগে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ও অনশন পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যতদিন অব্দি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থা বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।”