চলমান এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া মাধ্যমিকের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষ করতেও চাপ রয়েছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা গেলে কোনোটিই সম্ভব হবে না। তাই আগামী দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে।
অন্যদিকে মেট্রোপলিটন সিটি এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুই দিন সময় লাগবে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, “আগামী দুই দিনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনও আলোচনা হয়নি।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল (২৯ জুলাই) বিশেষ মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী আরও দুই দিন অফিস নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। এ সময় বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে না। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় বলেছেন, “উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হবে। ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।”
প্রসঙ্গত, চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস অবস্থা তৈরি হলে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নিরাপত্তার জন্য শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়।