কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
বুধবার (২৪ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গণমাধ্যমকে বলেছেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর পর, তা পর্যালোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চলমান এইচএসসি পরীক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না। এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে গুলশানে আইনমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে হতাহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কত সেটা বোঝার জন্য শিক্ষাঙ্গন খোলার আগেই সরকারের তরফে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য ও মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়ার কারণে এ মুহূর্তে হতাহতদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী, তা নিরূপণ করাটা খুবই কঠিন।”