• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা ঝাপিয়ে পড়েছিলাম’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
‘স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা ঝাপিয়ে পড়েছিলাম’
আলোচনা সভা। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মহান স্বাধীনতা দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা-২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ৩১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরে সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, “আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। ২৫ মার্চ রাতে যে গুলিবর্ষণ হয়েছিল তা আজও আমাদের নাড়া দেয়। সেই রাতে মায়েরা তাদের সন্তান নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠে  রাত্রি যাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্ব আর দিকনির্দেশনায় আমরা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করেছি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, “অতীতে কী হয়েছে সেগুলো আমি ভাবতে চাই না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিধি আইনের শাসন ন্যায়বিচার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসন শোষণে জর্জরিত ২৩ বছর পাকিস্তান শাসন শোষণ থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দেশের স্বাধীনতা মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনের দীর্ষ সময় অতিবাহিত হয়েছে কারাগারে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৭৩ আইন বাস্তবায়ন এবং অর্পিত দায়িত্বে সততা নিষ্ঠা আন্তরিকতা দেশপ্রেম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাই আমরা একত্রে কাজ করব।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে দেশের স্বাধীনতা সমাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তির জন্য। ১৭৫৭ সালে এ দেশে স্বাধীনতার সূর্যস্ত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে আরেক স্বাধীন দেশ গড়ে ওঠে। সবাই এদেশ কে শোষণ করেছে কেউ স্বাধীনতা দেয়নি। ১৯৭১ সালে বিশ্ব মোড়লরা রাশিয়া আর ইন্ডিয়া বাদে সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল। বর্তমানে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা হচ্ছে। এটি হলে দেশ এবং জাতির বড় ধরনের ক্ষতি হবে।”

Link copied!