পাহাড়ে সহিংসতা বন্ধ, হত্যা-হামলার বিচার এবং সকল জাতিগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে শিক্ষার্থীরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় পাহাড়ে মানুষ হত্যার বিরোধীতা করে এবং ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা ‘এক দেশে দুই নীতি, চলবে না চলবে না,’ ‘বাঙালিদের সেনাবাহিনী নয়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী চাই’, ‘বহুজাতির বাংলাদেশ, নিপীড়নের সময় শেষ’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে জেরিন চাকমা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আদিবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের দায়িত্ব বাঙালিদের নিতে হবে। আদিবাসী টার্মটি যদি বাদও দেই তাহলেও মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা নতুন দেশ চাই না। আমরা কোথাও যাব না, এই দেশেই থাকব।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের ইভান তাহসীভ বলেন, “পাহাড়ের সহিংসতার বিচারের দাবিতে আমরা আজকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছি, সঙ্গে জবির পাহাড়ি শিক্ষার্থীরাও আছেন। পাহাড়ে যে সহিংসতা চলছে এবং হত্যা-হামলা হচ্ছে তার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। একই সঙ্গে সকল জাতিগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়ে সেনা শাসন চলমান, এই পরিস্থিতিতে পাহাড়িরা সেখানে তাদের অধিকার পাচ্ছেন না। পাহাড়িদের ভিন্ন সংস্কৃতির রয়েছে, নিজস্ব জীবন বোধ রয়েছে। কিন্তু বরাবরই তাদের ওপর বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিচয় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে পাহাড়িদের সঙ্গে সেটেলারদের যে দ্বন্দ্ব চলমান সেটার দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে। আমরা বলছি, অবিলম্বে এই সংকট নিরসন করা হোক।”