জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাসের পাশে টিএসসি নামে পরিচিতি চত্বরটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডেঙ্গু মশার প্রজনন হওয়ার আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছে, ময়লা স্তূপে জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা। এখানে এডিসের লার্ভার জন্ম হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীরা রয়েছে ডেঙ্গু সংক্রমণের আতঙ্কে।
বুধবার (১৯ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, টিএসসি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। অল্প বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে দেখা গেছে মশার উপদ্রব।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য রয়েছে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া। যেটি ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অপ্রতুল। এ জন্য পাশের টিএসসির চত্বর নামে পরিচিত এলাকার দোকানগুলোতে ভিড় জমান শিক্ষার্থীরা। এখানকার এ বেহাল অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তমাল ভূঁইয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আসার কারণে সকালের নাশতা ক্যাম্পাসে এসে করতে হয়। এখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও খেতে বাধ্য হই, যে কারণে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ি।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রুকাইয়া জাহান বলেন, “দোকানগুলোর আশপাশের পরিবেশ খুবই নোংরা। মশা জন্ম নেওয়ার মতো জায়গা, যেকোনো দোকানে বসলেই মশার কামড় খেতে হয়। প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে,ভয়ে আছি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মুহিবুল্লাহ শেখ বলেন, “আমরা এখানে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর একটি পরিবেশ আশা করি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
চা বিক্রেতা সিরাজ বলেন, “এখানে ময়লা পরিষ্কার করার কেউ নেই। আমরা নিজেরাই পরিষ্কার করি। চায়ের দোকানের ময়লা কম হলেও খাবারের দোকানের ময়লা বেশি হয়। তারা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় আরও বেশি ময়লা জমে।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি না হওয়ায় তাদের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী বলেন, “আমরা নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছি। আমাদের লোকেরা প্রতিদিন ময়লাও পরিষ্কার করছে। তারা নিজেরা যদি নোংরা করে রাখে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের হল আন্দোলনের সময় সমবায় ব্যাংকের মালিকানা থেকে জমিটি দখল করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে তারা জায়গাটিকে টিএসসি চত্বর নাম দিয়ে ব্যবহার করে আসছেন।