পোষ্য কোটাসহ সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল, যৌক্তিকভাবে ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি কমানো এবং আগামী ২ সেমিস্টার ৪ মাস করে শেষ করা এই তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় আগামী রোববারের (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যে যদি দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আগামী দিনে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিফ, সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাহবুবুল ইসলাম পবন, ইংরেজি বিভাগের শাকিলসহ আরও অনেকে।
ফয়সাল হোসেন বলেন, “যেখানে ২০-২১ সেশনে ভর্তি ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা ও ক্রেডিট ফি তত্ত্বীয় ছিল ১০৫ টাকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্য করছি ২০২৩-২৪ সেশনে ভর্তি ফি ১৮ হাজারেরও বেশি এবং ক্রেডিট ফি তত্ত্বীয় ২০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা কোনোভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না।”
পোষ্য কোটাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “যে কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আজকে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার প্রথম দায়িত্ব ছিল পোষ্য কোটাসহ সকল অযৌক্তিক কোটা বাতিল করা। কিন্তু আমরা এখনো লক্ষ্য করছি পোষ্য কোটার মতো তেলা মাথায় তেল দেওয়া কোটা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, এইসকল অযৌক্তিক কোটাকে বাতিল ও ভর্তি ও ক্রেডিট ফি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসুন। নয়তো শিক্ষার্থী বসে থাকবে না।”
আসাদুল্লাহ আল গালিফ বলেন, “আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম তারা শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে ওঠবে। বোমা ফরিদের (সাবেক উপাচার্য) মতো তারা আচরণ করবে না, তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে না, তাদের মতো শিক্ষার্থীদের দূরে ঠেলে দেবে না, কোনো ধরনের শিক্ষার্থী অবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে না। কিন্তু আমরা বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবি নিয়ে যাওয়ার পরও এ প্রশাসন কোনো ভ্রূক্ষেপ করছে না। তারা আগের প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তগুলো সেগুলো এখন পর্যন্ত বাতিল করেনি। আগের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি, ক্রেডিট ফি ও সেমিস্টার ফি অযৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করেছিল। আমরা বর্তমান প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে এসব ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।”