• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

‘নারীবিষয়ক কমিশনে যারা আছেন, তারা বেশিরভাগই পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিওকর্মী’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
‘নারীবিষয়ক কমিশনে যারা আছেন, তারা বেশিরভাগই পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিওকর্মী’
মানববন্ধন। ছবি : প্রতিনিধি

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে সাধারণ ছাত্রীদের ব্যানারে শতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা কমিশনের সুপারিশকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “যৌন পেশাকে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যা নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর ও সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া। যা কাম্য নয়। ইসলামে নারীদের অধিকার কোনো অংশেই কম দেওয়া হয়নি, বরং আরও সম্মানিত করেছে। এই শাহজালালের ভূমি থেকে আমরা কখনই এসব অযৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন হতে দেবো না।”

এ আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার বলেন, “কমিশনে যারা বসে আছেন, তারা বেশিরভাগই পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত এনজিওকর্মী। বৃহত্তর নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে, এমন নারীদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করে তারপর সংস্কারের প্রস্তাব আনা দরকার।”

খোন্দকার আরিফা আক্তার আরও বলেন, “কতিপয় সুপারিশ কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি সকল ধর্মের মূল্যবোধকে অপমান করেছে। বাংলাদেশের জনগণ এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করছে।”

এসময় বর্তমান কমিশন ভেঙে সংস্কার করে নতুন করে কমিশন গঠনের দাবি করেন নারী শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার বেসরকারি সংস্থা ‘নারীপক্ষ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিটি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪৩৩টি সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিশন মোটা দাগে সংবিধান, আইন ও নারীর অধিকার— এ তিন বিষয়ে সুপারিশ করেছে, যেখানে সমতা ও সুরক্ষার ভিত্তি জোরাল করার কথা বলা হয়েছে।

সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করা। অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০ সংশোধন করে সন্তানের ওপর নারীর জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা। সংসদীয় আসন বাড়িয়ে ৬০০ করে সেই আসন থেকে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রেখে সরাসরি নির্বাচন। শ্রম আইন সংশোধন করে যৌনকর্মীদের মর্যাদা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!