• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাক্ষী নিজেই জানেন না তিনি সাক্ষী!


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০২:২৩ পিএম
সাক্ষী নিজেই জানেন না তিনি সাক্ষী!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, সাবেক প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ ৩৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জন উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় না জানিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে সাক্ষী রাখার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৬তম আবর্তনের রায়হান নামে আরেকজন শিক্ষার্থীকেও সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মামলাতে। এ নামে ১৬তম ব্যাচে কোনো শিক্ষার্থী নেই বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী শাখাওয়াত হোসেনের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু রায়হান এবং মো. সাকিব হোসাইন সাথে কথা বলার জন্য বলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় সাক্ষী হিসেবে ৮ জন শিক্ষার্থীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. গোলাম মোস্তফা, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হাসান অন্তর, একই বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর হোসাইন মজুমদার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান ইমাম ফরহাদ, একই বিভাগের বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ সিদ্দিকী এবং জিসান, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহিম।

এদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী সৌরভ সিদ্দিকী এবং জিসান জানান, তাদের যে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে, তারা সেই বিষয়ে জানেন না। এছাড়া অর্থনীতি ১৬তম আবর্তনের রায়হান নামের যে শিক্ষার্থীর কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নামে অর্থনীতির ১৬তম ব্যাচে কোনো শিক্ষার্থী নেই। তবে একই বিভাগের ১৫তম আবর্তনে রায়হান নামের শিক্ষার্থী বলেন, “যদি এটা আমার নাম হয়ে থাকে তাহলে আমি জানি না। আমার সাথে সাক্ষী হওয়ার বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেননি।”

এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম জিসান বলেন, “আমি এই মামলার বিষয় কিছুই জানি না। সেদিন বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হইছিলো জানি, কিন্তু মামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তাও আমার জানা নেই। কিন্তু আমার নাম দেখি সাক্ষীর তালিকায়, যা আমার জন্য বিব্রতকর। আমি এই ঘটনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় কথাবার্তা বলছি আইনজীবীদের সাথে, কথা বলে প্রয়োজনে আমি আইনি পদক্ষেপ নেবো।”

ভুক্তভোগী সৌরভ সিদ্দিকী বলেন, “কুবির সাবেক ভিসি-প্রক্টরসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেখানে আমাকে না জানিয়ে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। আমি এই ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া বিষয়ে ভাবছি।”

মামলার বাদী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু রায়হান এবং মো. সাকিব হোসাইনের সাথে কথা বলেন। আমার কোনো মন্তব্য নেই।”

সমন্বয়ক মো. সাকিব হুসাইন বলেন, “এই মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মামলাটি অন্যজন করেছেন, সাক্ষীর বিষয়ে তিনি জানবেন।” 

Link copied!