নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আশা ফুরিয়ে যাওয়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে ডিসেম্বরে অংশ নিতে হবে বার্ষিক পরীক্ষায়। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবির কর্তারা বলছেন, অনেকটা আগের নিয়মেই অর্থাৎ ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের যে আঙ্গিকে পরীক্ষার আয়োজন করা হতো সেভাবেই ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পথ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন ও এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নে (এক কথায় উত্তর, শূন্যস্থান পূরণ ইত্যাদি) বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে প্রশ্ন হবে বিদ্যমান অর্থাৎ নতুন শিক্ষাক্রমের বই থেকেই। মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ প্রায় শেষের দিকে বলেও জানিয়েছে এনসিটিবি।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এনসিটিবির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এত দিন নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ালেখা করা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে শিগগিরই এটি প্রকাশ করব।”
পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই আগের অর্থাৎ ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমে ফের ফিরছে শিক্ষাব্যবস্থা। ফলে চলতি বছরই ডিসেম্বর মাসে হাইস্কুলগুলোতে ফিরছে বার্ষিক পরীক্ষা। তবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই এখনই পরিবর্তন হচ্ছে না। নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলোই আপাতত পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। আর সেখান থেকেই আসবে বার্ষিক পরীক্ষা প্রশ্ন। এ মুহূর্তে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এক কোটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে একটিই প্রশ্ন কী নিয়মে হবে বার্ষিক পরীক্ষা।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা কী নিয়মে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকটা আগের নিয়মে অর্থাৎ ২০১২ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের আঙ্গিকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন, এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অনেকটা আগের আঙ্গিকেই বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
‘এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকটা আগের নিয়মে অর্থাৎ ২০১২ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের আঙ্গিকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন, এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অনেকটা আগের আঙ্গিকেই বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে’।
বার্ষিক পরীক্ষা প্রশ্ন কাঠামো কী ২০২১ সালের অর্থাৎ আগের শিক্ষাক্রমের আঙ্গিকে হবে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, অনেকটা আগের আঙ্গিকে প্রশ্ন কাঠামো হলেও কিছু দিক একটু পরিবর্তন থাকবে। কী পরিবর্তন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা শিগগিরই সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রকাশ করব। তখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ সংক্রান্ত কৌতুহল কাটবে।
প্রতিটি বিষয়ে কত নম্বরের প্রশ্নে বার্ষিক পরীক্ষা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগ বিষয়ে প্রশ্ন হবে ১০০ নম্বরে। তবে কয়েকটি বিষয়ে কিছু কম নম্বরে বা ৫০ নম্বরে পরীক্ষা হতে পারে।