বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্র-শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেছেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের সকল ন্যায়সংগত আন্দোলনকে সমর্থন করি। পিএসসির সংস্কার হোক, শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে বড় বাজার তৈরি হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে হওয়া উচিত, যাতে কোনো জনদুর্ভোগ না হয়। আমরা চাই না শিক্ষার্থীরা এমন দাবি উত্থাপন করুক, যা তাদের মান ক্ষুণ্ন করে।”
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সংস্কার ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে একটি মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শুরু হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা রেললাইন থেকে সরে গেলে পুনরায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
শিক্ষার্থী অনিক রায় বলেন, “শিক্ষার্থীদের দুঃখ-কষ্ট বোঝার ক্ষমতা পিএসসির কর্মকর্তাদের নেই। কারণ তারা তো আর আমাদের মতো কয়েকবার বিসিএস পরীক্ষায় বসেনি। আগের সরকার পুলিশ দিয়ে পেটাত, এখন সেনাবাহিনী দিয়ে পেটায়। আমরা কি এত বড় সন্ত্রাসী? তিনবার পিএসসিতে গিয়েছি, তারা কোনো কথা না শুনেই পিটিয়েছে। সংস্কার করতে হলে তা রাজপথেই করতে হবে। টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।”