বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক-প্রভাষক হতে নিবন্ধন পরীক্ষার প্রতিটি স্তরে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় আলাদা আলাদাভাবে ৪০ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া কোনো প্রার্থী শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন না। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০। আর বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর না পেলে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন না। এখন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন চলছে।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও প্রত্যয়ন বিধিমালায় শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের যোগ্য বিবেচিত হয়ে মেধাতালিকায় স্থান পেতে প্রার্থীদের ন্যূনতম কত নম্বর পেতে হবে, সে বিষয়ে বলা আছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জারি করা ওই বিধিমালার সর্বশেষ সংশোধনে বলা আছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হতে হবে শতকরা ৪০ শতাংশ।
প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক অংশের নির্ধারিত কোনো পাস নম্বর নেই। নির্ধারিত পাস নম্বর না থাকলে শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করার জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়ে জাতীয় মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। বিধিমালায় বলা আছে, কোনও প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক-উভয় ক্ষেত্রেই পৃথকভাবে অন্যূন শতকরা ৪০ শতাংশ নম্বর না পেলে তিনি মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
বিধিমালা অনুসারে, উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাভিত্তিক মূল তালিকা ছাড়া শূন্যপদের সংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ প্রার্থীর সমন্বয়ে অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন করা যাবে। তাই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ন্যূনতম ৪০ নম্বরের কথা বিধিমালা উল্লেখ করা হলেও বিষয়ভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় পাস নম্বর বা কাট নম্বর বাড়ার সুযোগ আছে। তবে বিষয়ভিত্তিক পাস নম্বর প্রকাশ করার নজির নেই।
জানা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ফল প্রকাশ করতে চাচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও সরকার পতনের জেরে খাতা মূল্যায়নের প্রক্রিয়া দেরিতে শুরু হয়েছে। তাই চলতি মাসে এ পরীক্ষার ফল নিয়ে শঙ্কাও আছে।