চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, তাপপ্রবাহ ও বন্যার পর এবার আন্দোলনের কারণে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা থমকে গেছে। বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক স্কুলগুলো। মাধ্যমিক পর্যায়ে ষাণ্মাসিক মূল্যায়নও স্থগিত। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে সবার আগে খুলে দেওয়া হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সবার আগে খোলা হলেও সব অঞ্চলের স্কুল একসঙ্গে খোলা হবে না। ধাপে ধাপে বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কম সহিংসতাপ্রবণ এলকার বিদ্যালয়গুলো আগে খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র একটি শিক্ষাবিষয়ক নিউজ পোর্টালকে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে বিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান চালুর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে শুরুতে সব জেলার বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে না। কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বিদ্যালয়গুলো আগে খোলা হবে। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে উচ্চপর্যায়ে সভা ডাকা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, “আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু করতে চাই। সব বিদ্যালয় একসঙ্গে খুলে দেওয়া হবে না। ধাপে ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো চালু করা হবে। কোন অঞ্চলের বিদ্যালয় আগে খোলা হবে। শ্রেণিক্ষের কর্মসূচি কত ঘণ্টা হবে, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা ডাকা হয়েছে। সভা শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।
এর আগে, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যদিও জুলাইয়ের শুরুতেই পেনশন এবং কোটা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেলে পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে আসে শিক্ষাব্যবস্থায়। গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুর হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে যায় সারা দেশে। একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘাতে শিক্ষার্থীসহ ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, আহত হয় কয়েক হাজার মানুষ।