জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজকর্ম বিভাগে `ছাত্র কাউন্সিলিং ও বৃত্তি প্রদান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় কনফারেন্স রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, “শিক্ষকদেরও মূল্যায়ন দরকার, আমি কেমন শিক্ষক সেটা আমার শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবে। আবার শিক্ষার্থীদেরও নির্যাস নিতে হবে শিক্ষকের কাছ থেকে তার জীবনযাত্রা, চলাফেরা ও কথাবার্তা দিয়ে। আমার দেশের জন্য যখন আইডেনটিটির প্রশ্ন আসে তখন আমরা কনফিউজড হয়ে যাই, আমাদের আইডিনটিটি আমরা বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্য লড়াই করেছেন, তিনি লড়াই করেছেন গণতন্ত্রের জন্য, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য, সমাজতন্ত্রের জন্য।”
উপাচার্য আরও বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা মানে নয় ধর্মহীনতা, সকল ধর্মকে আমি সম্মান করব, সবার ধর্মের উৎসবে যাবো, নিজের মতো করে ধর্ম চর্চা করব। কিন্তু ধর্মটাকে যখন আমি আইডেনটিটিতে নিয়ে আসি তখনই সমস্যা হয়ে যায়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অনেক ধর্মপরায়ণ। তাহলে তিনি কীভাবে চলেন সেটাও আমাদের আইডেনটিটি হতে পারে। সমাজকর্মের কোনো বন্ধ দরজা জানালা নাই। তোমরা উন্মুক্ত, তোমাদের অর্মত্য সেন, বেগম রোকেয়া পড়তে হবে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, “যারা মেধা বৃত্তি পেয়েছেন তাদেরও কো-কারিকুলার ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ প্যাকেজে পরিণত হতে হবে। সমাজকর্ম বিভাগের এত সুন্দর তিনটি ক্যাটগরিতে বৃত্তি দেওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়।”
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, “আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে চলে এসেছি। এখন সবাইকে স্মার্ট হতে হবে। বেশি বেশি তথ্য সমৃদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সোনার বাংলাদেশকে আরও স্মার্ট বাংলাদেশ বানাতে হবে। এ জন্য আরও স্মার্ট সমাজকর্মী দরকার। কারণ তারা জানে কীভাবে পরিবর্তন আনতে হবে। সকল বিষয়ে তাদের জ্ঞান আছে।”
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগীয় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করা হয়। পরে সমাজকর্ম বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ৫ জন এমএসএস শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩টি ক্যাটাগরিতে সোশ্যাল ওয়ার্ক কো-কারিকুলার বৃত্তি, এক্সট্রা কারিকুলার বৃত্তি এবং মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়।