জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে পিএইচডি সম্পন্নকারী, গ্রন্থপ্রকাশকারী এবং অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে পিএইচডি সম্পন্নকারী ৪৪জন শিক্ষক, গ্রন্থমেলায় গ্রন্থপ্রকাশকারী ৬জন শিক্ষক লেখক ও চাকরিকাল সম্পন্ন করে অবসরে যাওয়া দুইজন শিক্ষককে সংবর্ধনা ও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নানাবিধ সংকট, সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও প্রশাসনিক নানা সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের অনেক সময় কঠোর হতে হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও জনবলের অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে মাত্র ৪জন শিক্ষক আছেন, মার্কেটিংয়ে ৪জন, ব্যবস্থাপনায় মাত্র ২জন শিক্ষক। দুজন শিক্ষক দিয়ে নিয়মিত পাঁচটি ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে শিক্ষকরা নিজেদের গবেষণা কীভাবে করবেন, যেখানে দুজন শিক্ষক থাকেন তারা কীভাবে নিজেদের ক্যারিয়ারের উন্নতি করবেন এ প্রশ্নও আমাদেরও। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি বিশ্বমানের করতে চাই তাহলে প্রথম দরকার জনবল। বিশেষ করে প্রথমে হলো শিক্ষক। তারপরে অন্যরা। কেননা শিক্ষকদের অপ্রতুলতা থাকলে শিক্ষার স্বাভাবিক গতি ব্যহত হতে বাধ্য।“
ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপাচার্য বলেন, “নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি একটি সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় করতে হয়, যদি ত্রিশালে নতুন টাউনশিপ করতে চাই। যদি এইখানে একটি বিদ্যায়তনিক সুন্দর পরিবেশ করতে চাই তাহলে অবশ্যই এখানে একটি কলেজিয়েট স্কুল দরকার। যেখানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠদান হবে। আর এ জন্য ইউজিসিকে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. হাসিনা খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম।