এইচএসসির ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং শুরু


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
এইচএসসির ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং শুরু
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের ফল সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। এ লক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সংশ্লিষ্ট বোর্ড। এতে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি সাবজেক্ট ম্যাপিং সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে পরের এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যারা ১৯৯৬ সালের আগে এসএসসি পাস করেছিল তাদের প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়ন করে শিক্ষাবোর্ডে হাতে-হাতে জমা দিতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর সমতুল্য সনদধারী পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-সমমান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র (নম্বর/গ্রেড পদ্ধতির প্রমাণক কাগজ পত্রসহ), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সমতুল্য সনদ এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে-হাতে জমা দিতে হবে।

এছাড়াও যেসব পরীক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি-সমমান ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তাদেরও একইভাবে তথ্য পাঠাতে হবে।

সব পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি, বিষয় কোড-২৭৫) বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে প্রাপ্ত) অনলাইনে পাঠিয়ে এর প্রিন্ট কপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে এবং মূলকপি, বিষয়ভিত্তিক অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের তালিকা ও অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক স্বাক্ষরলিপি এক কপি করে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন ‍কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, “সাবজেক্ট ম্যাপিং করতে হলে একজন শিক্ষার্থীর পূর্বের পরীক্ষা যেমন এসএসসি, জেএসসির ফলাফল প্রয়োজন। ম্যাপিং ফলাফল তৈরি করতে হলে পূর্বের বিষয়ভিত্তিক ফল দেখা হয়।”

তপন ‍কুমার সরকার আরও বলেন, “নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক তথ্য থাকলেও প্রাইভেট পরীক্ষা দেয়, বা অনিয়মিত কিংবা মাদ্রাসা, উন্মুক্ত শিক্ষা বোর্ডসহ অন্যান্য জায়গা থেকে এসেছেন তাদের তথ্য বোর্ডের হাতে থাকে না। সেসব পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষদের বোর্ডে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।”

Link copied!